
সুদূর দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে উড়ে এসে কক্সবাজারের চকরিয়ার ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে নতুন অতিথি হিসেবে যোগ দিয়েছে তিনটি বাঘ। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) সকালে বাঘগুলো সাফারি পার্কে এসে পৌঁছায়। এখন তারা পার্কের ভেটেরিনারি হাসপাতালের কোয়ারান্টাইন সেকশনে রয়েছে নিবিড় পরিচর্যায়।
প্রাথমিকভাবে শারীরিক অবস্থা যাচাই-বাছাইয়ের পর ভেটেরিনারি টিম প্রতিটি বাঘকে কোয়ারান্টাইনে রেখে পর্যবেক্ষণ শুরু করেছে। বাঘগুলোকে খাবার দেওয়া হয়েছে এবং পুরো স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাজে নিয়োজিত রয়েছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক দল ও স্বাস্থ্যকর্মীরা।
পার্কের ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মনজুর আলম শুক্রবার বিকেলে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সঙ্গে চুক্তির আওতায় দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে বাঘগুলো সরবরাহ করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ফ্যালকন ট্রেডার্স।
তার ভাষ্যমতে, গত বুধবার কার্গো বিমানে করে বাঘগুলো ঢাকায় আনা হয়, সেখান থেকে ট্রাকে করে বৃহস্পতিবার সকালে ডুলাহাজারায় পৌঁছে দেওয়া হয়। তিনটি বাঘের বয়স আনুমানিক ১১ থেকে ১৫ মাস।
ভেটেরিনারি চিকিৎসক হাতেম সাজ্জাদ জুলকারনাইন জানান, বাঘগুলো পৌঁছার পরই তাৎক্ষণিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে সরবরাহকারী ঠিকাদারের হেফাজতে কোয়ারান্টাইনে পাঠানো হয়। সেখানে ২১ দিন পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। এই সময়কালে কোনও শারীরিক অসুস্থতা ধরা পড়লে বাঘগুলো গ্রহণ করা হবে না।
ডুলাহাজারায় এর আগেও চারটি বাঘ ছিল, যার মধ্যে দুটি পুরুষ ও দুটি নারী বাঘ। নতুন করে আসা তিনটির মধ্যে রয়েছে দুটি নারী ও একটি পুরুষ বাঘ। ফলে এখন পার্কে মোট বাঘের সংখ্যা দাঁড়াল সাতটি।
চট্টগ্রাম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) ও সাফারি পার্ক প্রকল্প পরিচালক আবু নাছের মো. ইয়াছিন নেওয়াজ জানান, স্বাস্থ্যগত সব দিক বিবেচনায় রেখে বাঘগুলোকে কোয়ারান্টাইন পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। যদি সবকিছু স্বাভাবিক থাকে, তাহলে নির্ধারিত সময় শেষে এগুলোকে পার্কের নির্দিষ্ট বেষ্টনিতে অবমুক্ত করা হবে।
পাঠকের মতামত